নববর্ষ
প্রতি বছর নববর্ষ যায় ও আসে।
শ্রী গণেশ পূজো হয় বৈশাখ মাসে।
ফুল, ফল ভরা থাকে শাখে শাখে।
রৌদ্র-তাপে ডালে ডালে ফল পাকে।
কামড় দিই তাজা, সুস্বাদু ফলে।
আমি সাঁতরাই দামোদর-জলে।
মোষ, গাভী, কুকুর জলে বসে থাকে।
জল পান করে পায়রা, ঘুঘু, বক, কাকে।
বিশ্বকবির জন্মদিন পালি ২৫শে বৈশাখে।
বিচিত্রানুষ্ঠানে স্মরণ করি তাঁকে।
যেই না আসে নববর্ষ।
মনে আসে হর্ষ।
নববর্ষ মানে উৎকর্ষ।
চির নবত্বের স্পর্শ।
কিছুক্ষণ
মৃতদেহটির মাথাটা মায়ের কোলে আছে।
যুবক ছেলের দেহ প্রাণহীন।
কিছুক্ষণ বসেছো কি সেই সে মায়ের কাছে?
নিয়তি তো চির ত্রাণহীন।
জীবনের জন্য কোথায় তার দয়া, মায়া?
নিষ্ঠুরতা যে তার দানে নাচে।
কাজ তার স্পন্দনহীন করা কায়া।
ছিঃ নিয়তি! তুই কি নিদারুণ বেহায়া!
বল তো ওরে ও তুই নিলাজ!
পুত্রহারা মা এখন কি করে বাঁচে?
এবার বন্ধ কর তোর সেই সে পুরোনো কুকাজ!
অকালে কাড়িস না আর প্রাণ!
নিতে দে নবপ্রাণকে দীর্ঘ জীবনের ঘ্রাণ!
শোন তুই অতি দীর্ঘ জীবনের হৃদ-আওয়াজ!
ওহে বিশ্ব, তুমি কি চেনো সেই সে অসহায় মাকে?
কিছুক্ষণ কি তুমি শান্তি দিতে পারো সেই সে মাকে?
হয়েও জীবন্ত
যে চিতা সম জ্বলন্ত।
আমি দেখি সেই সে মাকে।
আমিও ডাকি 'মা' বলে যাকে।
আমার খুব কাছের সেই সে পুত্রহারা মা, তাই।
আর সেই সে অকাল-মৃতটি - সেতো
হ্যাঁ, সে যে আমার নিজ-ছোট-ভাই।
যে প্রতি বছর আমার আঙ্গুল থেকে
চন্দনের ভাইফোঁটা পেতো।
যার কপালে আমি দীর্ঘায়ুর চিহ্ন দিতাম এঁকে।
তবুও আজ আর সেতো
আমাদের এই জীবনের জগতে নাই।
শুধু বেদনার স্মৃতি গেল সে রেখে।
ব্যথার আঁধারে অন্তরে শুধুই খুঁজি তাকে;
যে চিরতরে ছেড়ে যায়, তাকে কি আর পাই!
তবুও আমার ভাইয়ের ব্যথাতুর মাকে
প্রাণপণ চেষ্টায় বাঁচাতে চাই।
আর সে এখনই চিরতরে চলে যেতে চায়
তার আদরের ছেলের কাছে।
হায় হায় হায়!!!
মৃত্যু তো শরীরকে শ্বাসহীন করতে নেয়
কিছুক্ষণ মাত্র।
সত্যই মৃত্যু, তুই এক চির ঘৃণার পাত্র।
পি - ১১৪
পি এক্সটেনশন।
মোহন গার্ডেন
উত্তমনগর
দিল্লী - ১১০০৫৯