Saturday, July 16, 2022

কবিতা || সুপ্রিয়া দত্ত




স্তম্ভিত বেলা

সুপ্রিয়া দত্ত (প্রহেলিকা)

 ঘরবন্দী গুচ্ছ গুচ্ছ বিষন্নতা ,
স্মৃতি আকড়ে যত দূর অতীতে যায় -
বর্তমান তালাবদ্ধ কুঠুরির কোনে গলা চেপে ধরে।
শহরতলীর ব্যস্ততম ঐ রাস্তাটা
আজ রাতের অন্ধকার জুড়ে শুধুই
শেষের খেয়ায় মৃত্যু বোয়ে চলেছে।
যেনো আকাশ জুড়ে গুচ্ছ গুচ্ছ ঘুড়ি
কিন্তু একে একে সব ঘুড়ি ভোকাট্টা।
কোন অজানা কাটছে এই ঘুড়ি
রিলেশন করে দিচ্ছে ডিপ্রেশনের সাথে?
বোকাবাক্সের দিকে হাঁ করে বসা চোঁখ- নাক
যেনো গিলছে নিজেরই মৃত্যুর খবর।
লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী অথবা ছোটো ব্যবসায়ী
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন সংসার তাদের,
এ কোন অভিশপ্ততার হয়রানি!
তবে যে শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিল দুর্বাসা
অথবা বাসরে কালনাগিনীর ছোবলে 
স্বামীকে হারিয়ে বেহুলার আর্তনাদ,
এ বিষ জ্বালা কি তার চেয়ে অধিক নয়?
মরণ তো এখন হাতের কাছেই,
বেঁচে থাকাটা সংশয়।




সুভাষ নগর
বনগাঁ
 উত্তর ২৪ পরগনা


Friday, July 15, 2022

কবিতা || দেবাশীষ চক্রবর্তী




দেখা

দেবাশীষ চক্রবর্তী

কোথায় যাব ? এইতো আছি এক্কেবারে কাছটি ঘেঁষে ,
তোমার রঙিন আঁচলখানা ছুঁচ্ছে আমায় মিষ্টি হেসে। 
কোথায় যাব ? এইতো আছি সামনাসামনি বোকার মতো ,
দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে আজ , পিঠে অনেক ছুরির ক্ষত। 
দেখতে আমায় পাচ্ছ না তো ? দৃষ্টি কি সব দেখতে পারে ?
চোখ কি দেখে যখন মানুষ নিজেই নিজের মনকে মারে !
কত শত লোক দেখ রোজ , তাদের কজন মনেই আসে ?
চোখ দিয়ে নয় , মনে দেখো , দেখবে আছি তোমার পাশে । 
তোমার কাছেই বসত আমার অপেক্ষা তো ডাকের শুধু ,
চোখ বুজে কি দেখছ আমায় ? যদি না পাও হৃদয় ধু ধু !


ইন্দিরালয়, ৮০. নরসিংহ দত্ত ঘাট রোড,
সুখচর, কলকাতা-৭০০১১৫



কবিতা || অভিষেক মিত্র




স্বাধীনতা

 অভিষেক মিত্র

আমি বিশ্বাস করি:

তুমি অদৃশ্য হয়ে যাওনি,

মরেও যাওনি।

শিশুদের ভয়ার্ত চোখে, কিম্বা

আমাদের নিচু করা মাথায়,

প্রতিটি ছুটে যাওয়া ট্রেনে,

আমি তোমায় দেখি।

তুমি, পাহাড়ের চুড়ার মত, অনড়,

সাগরের ঢেউের মত, অবিরাম তোমার উপস্থিতি।

মনে রেখো,

যে পাখি খাঁচায় জন্মেছে,

তার কাছে উড়ে বেরানোটা কিন্তু একটা অসুখ,

স্কিৎজোফেনিয়ার মত। 









ঠিকানা ১ – D-2, Flat No – 504, OCL New Colony, Rajgangpur, Orissa – 770017


কবিতা || সৌভিক ভান্ডারী




অমরাকাঙ্ক্ষা

সৌভিক ভান্ডারী

যদিও জীবন চলিয়াছে   
        ন্যায় নদীর স্রোতে ;           
অতীত থেকে চলে আসিয়াছি      
        আজ অনেকটাই দূরে ;
তবুও যেন পুরোনো কিছু স্বপ্ন   
      মনের দোড়গোড়ায় ছটফটিয়ে মরে ।। 


কর্তব্যের খাতিরে ভালোলাগা,খারাপলাগা       
   সমস্ত কিছুকেই যে রেখে দিতে হয় দূরে ;     
কিছু চাহিদা, কিছু ইচ্ছা আর কিছু আকাঙক্ষা                 
  যেন চলিয়াছে একান্ত জীবনকে খনন করে ।।


চাহিদা আর আকাঙ্ক্ষায় যে
    বাঁসা বেঁধেছে গোটা জীবন জুড়ে ;
এরাই তো দিয়েছে
     জীবনখাতাকে পূৰ্ণ করে ।।


কিছু স্বপ্ন স্বপ্নতেই থাকে
    ঘটেনা যে তাদের কোনো মৃত্যু ;
পাওয়া যায় না যে তাদের থেকে সন্তুতি
    এরাই হয়েছে একান্ত জীবনের একমাত্র সঙ্গি ।।                        
                             
                                     



সিউড়ি
বীরভূম

কবিতা || শঙ্কর ঘোষ




খুশির ঈদ

শঙ্কর ঘোষ

রমজান মাস শেষ হলেই আসে খুশির ঈদ,
ছোটদের ঈদের গল্প শোনায় চাচা রশিদ।
ইমাম ঈদ ঘোষণা করেন আকাশে চাঁদ দেখে,
ঈদে নতুন পোশাকে ঘোরে গায়েতে আতর মেখে।
ঈদের দিনেতে মসজিদে নামাজের ঢল নামে,
ঈদে প্রবাসীরা কাজ থেকে ফেরে নিজ নিজ ধামে।
ঈদের দিনে লোকজন এসে সবার বাড়ি ভরে,
নানা স্বাদের সেমাই পিঠে খাওয়ান তৈরি করে।
ছোটবড় সবাই নতুন পোশাকে বেড়ায় ঘুরে,
বাড়িতে আসেন কাজের সূত্রে থাকেন যারা দূরে।
খুশির ঈদকে কেউই চায়না করতে নষ্ট,
ঈদের দিনে দীন দুখিরা পায় যে বেশি কষ্ট।
ঈদের দিনে খাবার পোশাক করলে পরে দান,
তবে নামাজ পড়লে খুশিতে ভরে আল্লার প্রাণ।
সব মুসলমানেরা একহয় যে ঈদের দিনে,
সবাই যেন একহই হিংসা মারামারি বিনে।




উত্তর কালীনগর হাবসী পাড়া লেন
কৃষ্ণনগর
নদীয়া