প্রতিটা মানুষই একটা আশ্রয় খোঁজে। খুঁজতে থাকে একটা একান্ত সম্বল, যাকে ঘিরে সে হাজার স্বপ্ন বুনতে পারে, জীবনের বাকি দিনগুলো যাকে নিয়ে কাটানো যায়; পরবর্তী সময় চলতে থাকা দিনগুলোতে সে যেনো পাশে থাকে।
ঠিক এমনই এক মানুষ এর খোঁজে ছিল বেণীমাধব।
সে উপলব্ধি করেছিলো জীবনে এমন একটা মানুষ আসুক যার সাথে অন্য কারোর যোগাযোগ থাকবে না; অন্য কারোর গল্প ও তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
মানুষ টা থাকবে একান্ত নিজের, ব্যক্তিগত। কিন্তু সবকিছুই তো আমাদের চাওয়া পাওয়ার উপর নির্ভর করে না। তেমনই বেণীমাধবের জীবনে আগে যারাই এসেছে তারা কেউই প্রিয়জন ছিল না, ছিল প্রয়োজন মাত্র।
ঠিক এভাবেই ছন্নছাড়া ভাবে কাটছিল বেণীমাধবের দিন গুলো হয়তো বা কেটেও যেত একইভাবে। কিন্তু দিনশেষ এ শুধুমাত্র কথা বলার জন্য হলেও আমাদের কাউকে প্রয়োজন। বেণীমাধবেরও হৃদয় এর অন্তঃস্থলে একটা চাপা কষ্ট মোচড় দিয়ে উঠতো, তার একাকিত্ব কে জানান দিতে। নিরব কান্না গুলো শুধু সাক্ষী থাকতো ওই ঘুম না আসা রাত গুলোর।
এমন একটা সময় তার জীবনে আসে বনলতা সেন।
এই বনলতা সেন আর কেউ নয় বেণীমাধবের সহপাঠী যার সাথে বেণীমাধব এর সেই কবেকার বন্ধুত্ব। সে বুঝতে পারে হাজারো কষ্টের মধ্যে তাকে শান্তি দিয়েছে ওই বনলতা সেন ই। বেণীমাধব বুঝতে পারে এই বনলতা সেন ই তার দিনশেষের আশ্রয়। এভাবেই বেণীমাধব নতুন করে সব কিছু শুরু করে। বনলতা সেন যেন এক নিমেষে বেণীমাধব এর একাকীত্বকে দূর করে দিয়ে তাকে বোঝায়, "ভালোবাসার অর্থ"। তারা একে অপরকে কথা দেয় জীবনের স্বপ্ন গুলো একসাথে পূরণ করবে; সারাজীবনের অটুট বন্ধন একইরকম থাকবে।
সব মানুষ মাঝ পথে হাত ছেড়ে যায়না, কেউ কেউ সত্যিকারেরই প্রিয়জন হয়ে জীবনে আসে। প্রকৃত ভালোবাসা জীবনে ঠিক ই আসে; শুধু প্রয়োজন একটু ধৈর্য আর সঠিক সময়ের।
মুকুন্দপুর, কোলকাতা
দুর্দান্ত লিখেছিস 💘
ReplyDelete🖤💖
ReplyDelete