Wednesday, June 15, 2022

কবিতা || রূপঙ্কর চক্রবর্ত্তী



ইতিহাসে 

সে এক ইতিহাসের ছাত্রী
খুঁজছে প্রাচীর আর সৌধ রোজ
বানাচ্ছে শীতল শত পরিযায়ী
বাড়ছে বইয়ের পাতা আর ব্যাগের বোঝ

শূন্যের সৃষ্টিতে হতাশ নয়
বাড়ছে পাতার পর পাতার স্তূপ 
স্তূপাকার গম্বুজ প্রেম লুকোয় 
 সেখানে মৃত্যু ভয় আজও নিশ্চুপ 

রক্তাক্ত ফরমান ভেসে আসে 
ইতিহাস লেখা হোক আরেকবার 
উনিশ বিশ উঁচু নিঁচু সিলেবাসে করা যায় 
পাশ ফেলে আর নেই কোনো দরকার 

সে এক ইতিহাসের ছাত্রী
শত শত প্রেমিক রয়েছে তার
সে ইচ্ছা করলে তুড়ি মেরে পাল্টাতে পারে সব
নাহ, এসবের আর তার নেই দরকার

কোনো এক প্রয়োজনে, সেও প্রেমে টেমে পড়ে
লিখে ফেলে পাতা পাতা কবিতা ও গল্প
সোজা অথবা বাঁকা, বিচার নেইকো তার
তবে, ছেপে ছিল তার লেখা কম ও অল্প

তারই পাড়ার ছেলে, বছর দুয়েক বড়
রক্ত দিয়ে লেখা প্রেমপত্র আনে 
সজোরে ধাক্কা দিয়ে, না বলে চলে যায়
আমাদের হিটলার ইতিহাস জানে।

লিখে রাখে সব নাম ডায়েরির শেষ দিকে
সেও নাকি ইতিহাস রচনায় ব্যস্ত
খুব ভোরে উঠে পড়ে, দেখে কে কে ফুল চুরি করে
এটাই যে ওর এক কাজ তো

এভাবেই কেটে যায় রক্ত বিহীন সময়
কেউ তার রাখে নাকো খোঁজ আর
কত যে প্রেমিক তার জীবনে এলো গ্যালো 
টেকানোর দায় নেই, নেই দরকার 

রাস্তার একপাশে আজও দাঁড়িয়ে দেখে 
বছর দুয়ের বড় সেই ছেলেটা, 
বয়স বেড়েছে আর কোঁকরানো গায়ের চামড়া 
কত পাগলামি করে মেয়েটা।

আজ যে পাগল নামে পাড়ায় পরিচিত
সেই ছিল এক ইতিহাসের ছাত্রী
গান ছিল আর কত গল্পরা মাথায় 
জেগে থাকতো সারা রাত্রি

হঠাৎ একদিন রাত্রিতে চিৎকার
ছেলেটাই ছুটে গ্যালো ওদের বাড়ির দিকে 
কত যে হাসা হাসি আর গল্প পাড়ায় রটে 
সারা রাত ছেলেটি হাসপাতালেই থাকে 

কত যে মেঘ জমে, আর কত বৃষ্টি হয়
পুকুর ও নদী ডোবে আর দিন কেটে যায়
রাত্তিরে রোজ ইতিহাস লেখা হয় 
অনেক গল্প রোজ ইতিহাসে মিলে যায়।।


মেমারী 


No comments:

Post a Comment