মধুচন্দ্রিমা
আমি আমার মায়ের একটাই ছেলে। 2 বছর ধরে বৈবাহিক জীবন উপভোগ করছি কিন্তু এখনো একবারও মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হলনা। আসলে আমি আর আমার তনিমা যখনই কোথাও যাওয়ার কথা ভাবি তখনই হয় মা অসুস্থ হয়ে পরতেন আর না হয় আমার কাজ পরে যেত। সামান্য কাছে পিঠে কোথাও যাওয়ার অনুমতি দেননা। তো যাই হোক আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাতিল দি।
একদিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরেছি; দেখি তনিমা কাঁদতে কাঁদতে ঘরে আসে, আমি জিজ্ঞাসা করাতেও কিছুই বলতে চায়না একটু জোড় করতেই বলে উঠলো-
তনিমা- সকাল থেকে মা যা যা কাজ করতে বললেন, আমি সব করেছি। কিন্তু জানি না কেন আমার কোনো কাজে উনি খুশি নন। আমার প্রত্যেকটা কাজে উনি কিছু না কিছু খুঁত বের করেন।
এরপর এই ঘটনাটির পূনঃআবৃত্তি ঘটতে থাকে। আর প্রতিদিন এই ঘটনাটি বাজে থেকে আরও বাজে হতে থাকে। রোজই স্ত্রী আমায় নালিশ করে কিন্তু মাকে কিছুই বলে না। আমিও আমার স্ত্রী এর কথা শুনি কিন্তু আমিও মাকে কিছু বলতে পারি না।
একদিন আমার অফিসের ছুটি ছিল, সেদিনও এই একই ঘটনার অন্যথা হয়নি, খুব মাথা গরম হয়ে গেলো আর সেদিন -
মা- তোর বউটা কোনো কাজ করতে পারেনা, কাজের না কোনো।
আমি (একটু রেগে) - দ্যাখো মা তোমার যদি তনিমা এর সাথে কোনো অসুবিধা থাকে তাহলে আমি ওকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাচ্ছি।
তনিমা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে আমাকে, এমনকি মা ও অনেক কান্নাকাটি করে কিন্তু আমি কারোর কোনো পরওয়া না করে তনিমা কে নিয়ে বেরিয়ে আসি। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তনিমা কে বললাম- আমরা কোথাও যাচ্ছি না। মা কে শিক্ষা দেওয়া একটু দরকার ছিল তাই এই রকম করলাম। চলো আমরা এই ফাঁকে কিছু দিন পাহাড় থেকে ঘুরে আসি।
হালিসহর
উত্তর ২৪ পরগনা
No comments:
Post a Comment